পর্যটক টানতে নানামুখি উন্নয়ন, প্রশাংসায় ভাসছেন পৌর মেয়র আনোয়ার।
-
অপডেট সময় :
রবিবার, এপ্রিল ৭, ২০২৪
-
109 Time View
আব্দুল কাইয়ুম (আরজু), কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
পদ্মাসেতুর দ্বার খুলে দেয়ার পর থেকেই সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা পর্যটক বেড়েছে কয়েকগুন। টানা ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগের তুলনায় প্রায় তিনগুন পর্যটক এসে ভিড় জমায়। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে পর্যটকদের বরণে ইতোমধ্যে সাজসজ্জায় নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট গুলোতে। তবে ঈদে পর্যটকের বেশ সাড়া পাচ্ছেন প্রথম সাড়ির হোটেল গুলোয়। দ্বীতিয় ও তৃতীয় শ্রেনীর হোটেল গুলোতে এখনো তেমন কোনো বুকিং হয়নি বলে জানা গেছে। তবে রমযানে জুরে টানা পর্যটক শূন্য থাকায় লোকসান গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এসকল ব্যবসায়ীরা ঈদের টানা ছুটিতে লোকসান কেটে ওঠার স্বপ্ন বুনছেন। এদিকে ঈদে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের যেকোনো হয়রানি রোধে ইতোমধ্যে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সভা করেছে। পর্যটকের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যটক যাতায়াতের প্রধান সড়কে ভোগান্তি নিরসনে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট সংলগ্ন একটি বিকল্প সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে পর্যটক চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রশস্থকরণ সহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রায় শেষের দিকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে পৌরসভার পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে তা আসলেই তাদের ধারনাতীত বলে অভিমত অনেকেরই। সৈকতের মূল কেন্দ্র থেকে পূর্বে জাতীয় উদ্যান ফটক পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন লেক ও পার্ক সহ বিনোদনের নানা মাত্রা যোগ করতে যে উন্নয়ন কাজ তাও প্রায় শেষের দিকে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু বকর,সাইফুল ইসলাম (রাজন), জাহিদুল ইসলাম হাসিব সহ অনেকেই জানান, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। যার ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটা পর্যটক কেন্দ্র ঘিরে পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম এক নৈসগ্রিক দৃশ্যের বেলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। যেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বিরল দৃশ্য। তাই এই সৈকতকে বলা হয় সমুদ্রকণ্যা। তারা বলেন কুয়াকাটা সৈকতে আগত পর্যটকদের আধুনিক সেবাদান, এবং চিত্ত বিনোদনে চলছে এক মহা উন্নয়ন কর্ম প্রয়াস। কুয়াকাটায় ভ্রমনে আগত পর্যটকদের এবার ঈদুল ফিতরে সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পৌর শহরের মূল কেন্দ্রে যান চলাচলে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা। অচিরেই কুয়াকাটা মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপ লাভ করবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজের সাধারন সম্পাদক জুয়েল ফরাজী জানান, কুয়াকাটায় চলমান বছরে পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই প্রায় অর্ধশত আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট চালু হবে। এতে করে বিশেষ দিনগুলোতে আগত পর্যটকের আর আবাসন সঙ্কট থাকবেনা। কুয়াকাটায় অচিরেই পর্যটকদের সেবায় কোনো ঘাটতি থাকছে না। এছাড়াও ভ্রমনের জন্য সৈকত ছাড়াও আশেপাশের অনেক দর্শনীয় স্পট রয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন কুয়াকাটা ভ্রমনে এসে সমুদ্র সৈকত ছাড়া আর দেখার কিছুই নেই। তবে দীর্ঘ ৩২ কিমি. সৈকতের বিভিন্ন স্থানে দর্শনীয় যেসক স্পট রয়েছে আগত পর্যটকরা এসকল স্পট ভ্রমন করলে দুই থেকে তিনদিনে ঘুরে শেষ করা সম্ভব না। বিশেষ করে স্থল ও সমুদ্র পথে ভ্রমনের সুযোগ রয়েছে। আশা করছি পর্যটকরা কুয়াকাটা ভ্রমনে এসে নান্দনিক পরিবেশে বিনোদন সময় কাটাতে পারবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই।
কুয়াকাটা পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কোস্টাল টাউন প্রকল্প’র আওতায় ২’শ কোটি টাকা, এছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পে আরো ৫০ কোটি টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের ভোগান্তি নিরসনে আমরা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সর্বাত্বক কাজ করে যাচ্ছি। আগামীর পর্যটন শিল্পের গতিশীলতায় এই প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ্য রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে ২৬ কিলোমিটার খালকে লেকে রূপান্তর। খালের মধ্যে ও পাশে দৃষ্টি নন্দন সড়ক এবং পার্ক। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে কুয়াকাটার রূপ পাল্টে যাবে; ফিরবে আন্তর্জাতিক মান বলে জানান কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার।
Please Share This Post in Your Social Media
এ জাতীয় আরো সংবাদ...
Leave a Reply