নিজস্ব প্রতিবেদক //

রাজনৈতিক অবস্থান ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক সমস্যার জের ধরে তৎকালীন বিজয় বাংলা টেলিভিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আসলাম নাজির’র বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ২০২১ সালের ৭ই মার্চ একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মুনসুর আহমেদ।

সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে এড. মুনসুর আহমেদ কে নিয়ে ক্রাইম ডকুমেন্টারি তথ্যবহুল নিউজ করার কারনে এড. মুনসুর আহমেদ মোঃ আসলাম নাজিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিজয় বাংলা টেলিভিশন’র বিভাগীয় প্রতিনিধি ও জেলা প্রতিনিধি বরিশাল আঞ্চলিক অফিসে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এবং ক্ষমতাবলে এড. মুনসুর আহমেদ মামলা টি কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে সিআইডি’র নিকট তদন্তের জন্য পাঠানোর পূর্ন ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সিআইডি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন যে, মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট, যা মামলায় উল্লেখিত ধারার সাথে তদন্তের কোন সামঞ্জস্য পাওয়া যায় নি। কিন্তু দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে ২৫(২)২৬(২)২৯(১) এই তিনটি ধারা অব্যাহত রেখে মামলাটি কোর্টে চার্জশিট করেন। পরবর্তীতে বিজয় বাংলা টেলিভিশন’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আসলাম নাজির কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন।

চলতি মাসে এড. মুনসুর আহমেদ’র দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট সকল কিছু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ শুরু করেন। এবং আগামী ২৮ ও ২৯ তারিখ যমুনা ও আর টিভি তে ধারাবাহিক নিউজ করার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান।  কিন্তু তখনই দেখা গেলো উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার আভাস।

উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও দলিল লেখক, পাতার হাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং এডভোকেট মুনসুর আহমেদ এর ছোট ভাই মোঃ মাইনুদ্দিন ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন সাগর,  এড. মুনসুর আহমেদ ও তার স্ত্রী এবং মোঃ আসলাম নাজিরের সাথে যোগাযোগ করেন। এবং উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে জুম মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হয়।

সমঝোতার এক পর্যায়ে মিথ্যা মামলার আসামী মোঃ আসলাম নাজির নিউজিল্যান্ডে থাকার কারনে মামলাটি প্রত্যাহার করা সম্ভব হয় নি। তবে নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসার পরই উভয় পক্ষের স্বাক্ষী ও উপস্থিতির ভিত্তিতে নিজ দ্বায়িত্বে ও নিজ খরচে মামলাটি প্রত্যাহার করবেন এড. মুনসুর আহমেদ।

এছাড়াও গতকাল এড. মুনসুর আহমেদ’র বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে একটি মামলা দায়ের করেন বিজয় বাংলা টেলিভিশন’র ক্রাইম রিপোর্টার কে এম মফিজুল ইসলাম শাহীন।

কিন্তু এড. মুনসুর আহমেদ ও মোঃ আসলাম নাজিরের সমঝোতার কারনে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন মামলার বাদী কে এম মফিজুল ইসলাম শাহীন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যেসব পোস্ট করেন মোঃ আসলাম নাজির, সমঝোতার পরে সেসব পোস্ট সরিয়ে নেন ফেসবুক থেকে।

বিষয় টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এড. মুনসুর আহমেদ’র ভাই মোঃ মাইনুদ্দিন মাস্টার কে মুঠোফোনে কল দিলে বলেন, একটা ভূল বুঝাবুঝির কারনে মামলা টি করা হয়, তবে আজ সন্ধ্যা ৯ টার দিকে বিষয় টি সমঝোতা হয়েছে। যেহেতু আমাদের মাঝে একটা পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই অতিদ্রুত বিষয় টি আমরা সমাধান করি।