ধূলখোলায় রাজনৈতিক কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সহিংসতা। নিহত ১
-
অপডেট সময় :
শনিবার, মার্চ ১৬, ২০২৪
-
30 Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক //
মেহেন্দিগঞ্জে রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে হিজলা উপজেলায় যেনো হত্যা, খুন, জখম নিত্যদিনের ঘটনা। তেমনটাই দেখা গেলো এবার।
স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ এর অনুসারী কালাম বেপারী ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ড. শাম্মী আহম্মেদ এর অনুসারী ধূলখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর মাঝে বিগত দিন যাবৎ মাছের ঘাট ও বাজার দখন নিয়ে সংঘাত চলে আসছে, নিহত মোঃ জামাল মাঝি পংকজ দেবনাথ অনুসারী কালাম বেপারীর সমর্থক।
জেলার হিজলা উপজেলার ধূলখোলা ইউনিয়নের ০৭নং পালপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: জামাল মাঝিকে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, গেলো শুক্রবার দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দেয় এবং আলীগঞ্জ বাজারে অপেন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়। এবং পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজমান ছিলো কয়েকঘন্টা যাবৎ, পরবর্তীতে হিজলা থানা পুলিশ ও মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু তারই জের ধরে শনিবার আনুমানিক ভোর রাতের দিকে ০৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জামাল মাঝি খুন হয়।
তবে জামাল মাঝির মেয়ে আইরিন বেগম বলেন, রাত ২ টার দিকে বাবার সাথে কথা হয়, এবং জানতে চাই, কোথায় আছেন? কেমন আছেন্ম সেইভে আছেন কিনা? তখন জামাল মাঝি প্রতিউত্তরে বলেন, চিন্তা করো না, আমি সেইভে আছি, এরপর আর কোন কথা হয় নি।
পরবর্তীতে রাতপেরিয়ে সকাল হলেই লোকমুখে শোনা যায়, সোয়াবিন খেতে একটা লাশ পরে আছে, খোজ নিতে নিতে জানা যায়, জামাল মাঝির নিথর দেহ পরে আছে সোয়াবিন খেতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, জামাল মাঝির গলায় ধারালো কোন রড বা ছুড়ির আঘাত, কান সহ গলা অবদি বড়ো আঘাতের চিহ্ন এবং বুকের বাপাশ তথা মাঝ বরাবর একটা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
লাশের খবর পেয়ে হিজলা থানা পুলিশ ও মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শনে আসেন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী তথ্য সংগ্রহে গেলে হিজলা থানার এ এস আই শরিফুল বাধা প্রদান করেন এবং ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙ্গচুর করেন।
এ ব্যাপারে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুবায়ের বলেন, হত্যার সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে আসি এবং গতোকালকের ঘটনার রেশ ধরেই এই হত্যা, তবে এখনও আমরা কোন বিষয়ে নিশ্চিত না, কে বা কাহারা এই হত্যা করেছে তবে যেই হত্যা করুক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, এবং স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এই হত্যার পেছনের পুলিশের হাত আছে এমন প্রশ্নের জবাবে জুবায়ের বলেন, এই প্রশ্ন একদম ভিত্তিহীন ও অবান্তর।
Please Share This Post in Your Social Media
এ জাতীয় আরো সংবাদ...
Leave a Reply